শরীরে লবণ শূন্যতা বলতে কি বোঝায়
শরীরে লবণ শূন্যতা বলতে বোঝায় যখন রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। সোডিয়াম এক ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট, যা কোষের ভিতরে বাইরে পানিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই আর্টিকেলে তা আলোচনা করা হবে।
শরীরে কোন অন্তর্নিহিত অসুখের কারণে বা অতিরিক্ত পানি পান করার কারণে শরীরে লবণ শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে শরীরের পানির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং শরীরের কোষগুলো ফুলতে শুরু করে। কোষের এই বেড়ে যাওয়া মৃদু থেকে তীব্র অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
পেজ সূচিপত্রঃ শরীরে লবণ শূন্যতা বলতে কি বোঝায়
- শরীরে লবণ শূন্যতায় নিম্নলিখিত লক্ষণ
- সোডিয়াম শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
- সোডিয়াম ও পানির অসমতা
- রোগী শরীরে লবণ শূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারে
- উপসংহার
শরীরে লবণ শূন্যতায় নিম্নলিখিত লক্ষণ
- বমি বমি ভাব এবং বমি,
- মাথাব্যথা,
- অনিশ্চয়তা,
- ক্লান্তি,
- অস্থিরতা ও রুক্ষতা,
- মাংসের দুর্বলতা, সংকোচন ও কামড়ানো,
- খিচুনি,
- অসচেতনতা,
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
সোডিয়াম শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
সোডিয়াম শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, এটা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ু ও মাংসের কাজকর্ম সমর্থনযোগ্য এবং শরীরের পানি অংশে সমতা রক্ষা করে। যখন শরীরের রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি কমে যায় তখন কোষের ভিতরে পানি ঢুকে ও তা ফুলে যায়।
মস্তিষ্কের কোষ যখন ফুলে যায় তখন ভীষণ বিপদ দেখা দিতে পারে। কারণ মস্তিষ্ক শক্ত খোলের মধ্যে থাকে এবং এটা ভুলে গেলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়। রক্তে সোডিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা 35 থেকে 145 মিলি ইকুয়েভেলেন্ট পার লিটার, যখন সোডিয়াম 135 এর নিচে নেমে আসে তখন শরীরে লবণ শূন্যতা দেখা দেয়।
সোডিয়াম ও পানির অসমতা
তিন কারণে রক্তের সোডিয়াম ও পানির অসমতা দেখা দিতে পারে-
- ১ঃ শরীরে যখন পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এটা সাধারণ কিডনি, হার্ড ও লিভার ফেইলিউরে দেখা যায়।
- ২ঃ শরীরে পানির পরিমাণ মারাত্মক আকারে বেশি হতে পারে- কোন কোন ক্ষেত্রে যখন দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা, ক্যান্সার ও বিশেষ বিশেষ ওষুধ ইত্যাদঅ।
- ৩ঃ কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে সোডিয়াম ও পানি দুটির স্বল্পতা দেখা দেয়। এটা দেখা দিতে পারে যখন কেউ অতিরিক্ত গরমের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করে, কিন্তু কোনো পানীয় পান করে না বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে।
রোগী শরীরে লবণ শূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারে
সহযোগী কারণগুলো চিকিৎসা করতে হবে। যেসব কারণে শরীরে লবণ শূন্যতা দেখা দেয় সেই কারণগুলো চিকিৎসা করতে হবে যেমন অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির অসমর্থ্য তাহলে শরীরে লবণ শূন্যতা কমানো যাবে।
উপসংহার
নিজেকে রোগ সম্বন্ধে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। যদি রোগীর কোন অসুখ থেকে থাকে যাতে শরীরে লবণ শূন্যতা দেখা দেয় কিংবা রোগী যদি কোন ডাইইউরেটিক্স গ্রহণ করে থাকে তবে রোগীকে শরীরে লবণ শূন্যতার উপসর্গ সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে।
নতুন কোন ওষুধ গ্রহণ করলে তার ঝুঁকি সম্পর্কে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url