হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ

হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ এই আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন হাদিস সম্পর্কে সকল বিস্তারিত বিষয়। তাই আপনারা এই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আপনি হাদিস সম্পর্কে সব বুঝতে পারবেন।

হাদিস-কি-সহিহ-হাদিসের-প্রকারভেদ

শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস হলো সুন্নাহ। সুন্নাহ অর্থ রীতি-নীতি। ইসলামী পরিভাষায় মহানবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর বাণী কর্ম ও তার সমর্থিত রীতি-নীতি কে সুন্নাহ বলে। সুন্নাহকে হাদীস নামে অভিহিত করা হয়। সুন্নাহ হল আল কুরআনের ব্যাখ্যা শুরুপ। 

সূচিপত্রঃ হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ 

হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ

হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ আমরা জানবো হাদিস কাকে বলে হাদিস কত প্রকার ও কি কি।হাদিসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য এর প্রয়োজনীয়তা জানবো। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে বিভিন্ন বিষয়ে সংক্ষিপ্ত মূলনীতি বর্ণনা করেছেন। আর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার সুন্নাহ মাধ্যমে এসব বিধি-বিধান বিষয়সমূহ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন-
"আর আমি আপনার প্রতি কুরআন নাযিল করেছি মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে" ( সূরা আন-নাহল, আয়াত ৪৪ )

একটি উদাহরণের মাধ্যমে এই বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে। যেমন আল-কোরআনে বলা হয়েছে- "তোমরা সালাত কায়েম কর।" ( সূরা আল-আনআম আয়াত ৭২ )

কিন্তু কোথায়, কিভাবে, কোন সময়ে সালাত আদায় করতে হবে এর কোন পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা আল-কোরআন এ পাওয়া যায় না।বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি সালাতের সমস্ত নিয়মকানুন তার হাদিস বা সুন্নাহ এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেছেন। এভাবে আল-কুরআনের নির্দেশ ও সুন্নাহর বর্ণনার মাধ্যমে সালাত প্রতিষ্ঠা হয়।

হাদিস তিন প্রকার হলেও সহি হাদিসের গ্রন্থ রয়েছে ছয়টি। আমরা আরো বিস্তারিত জানতে পারবো পরের বিষয়গুলো থেকে।মূলত সুন্নাহ বা হাদিস হলো আল-কুরআনের পরিপূরক। আল কুরআনে একে শরীয়তের দলিল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন-
"রাসূল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ করো আর তোমাদের যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো।" ( সুরা আল-হাশর আয়াত ৭ )

সুতরাং প্রমাণিত হয় যে সুন্নাহ বা হাদিস শরীয়তের অন্যতম দলিল বা উৎস। আল কুরআন এর পরপর এর স্থান। 

হাদিস কি এর পরিচয় 

হাদিস কি এর পরিচয় এখানে এখানে আমরা জানবো হাদিসের পরিচয়, হাদিস কাকে বলে। হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ এই আর্টিকেলে হাদিস কি এর পরিচয়  এ বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হাদিস অর্থ কথা বা বাণী। ইসলামি পরিভাষায় হাদিস বলতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী, কর্ম ও মৌনসম্মতিকে বোঝানো হয়। 

হাদিসের দুটি অংশ একটি সনদ অপরটি মতন। হাদিসের রাবি পরম্পরাকে সনদ বলা হয়। যিনি হাদিস বর্ণনা করেন তাকে বলা হয় রাবি বা বর্ণনাকারী। হাদিস বর্ণনায় হাদিসের রাবিগণের পর্যায়ক্রমিক উল্লেখ বা বর্ণনা পরম্পরাই সনদ। আর হাদিসের মূল বক্তব্য বা মূল অংশকে বলা হয় মতন। হাদিস শাস্ত্রের সনদ ও মতন উভয়ইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাদিস ইসলামি শরীয়াতের দ্বিতীয় উৎস।

হাদিসের বিভিন্ন প্রকারভেদ

হাদিসের বিভিন্ন প্রকারভেদে আমরা জানবো হাদিস কত প্রকার বা কি কি। হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ এই আর্টিকেলে এ বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মতন বা হাদিসের মূল বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে হাদিসকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- কাওলী হাদীস, ফি'লি হাদিস, তাকরিরি হাদিস।

কাওলী হাদীস
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর বাণী সূচক হাদিসকে কাওলি হাদিস বলা হয়। অর্থাৎ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র মুখ নিঃসৃত বাণীকে কাওলী বাণী সূচক হাদিস বলে।

ফি'লি হাদিস
ফি'লী শব্দের অর্থ কাজ সম্বন্ধীয়। যে হাদিসে মহানবী (সাঃ) এর কোন কাজের বিবরণ স্থান পেয়েছে তাকে ফি'লি বা কর্মসূচক হাদিস বলা হয়।

তাকরিরি হাদিস
তাকরিরি অর্থ মৌন সম্মতি জ্ঞাপক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অনুমোদন সূচক হাদিসই হল তাকরিরি হাদিস। অর্থাৎ সাহাবীগণের সামনে কোন কথা বলেছেন কিংবা কোন কাজ করেছেন কিন্তু রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম তা নিজে করেননি বা তাতে বাধাও দেননি বরং মৌনতা অবলম্বন করে তাতে সম্মতি বা অনুমোদন দিয়েছেন। এরুপ অবস্থা বা বিষয়ের বর্ণনা যে হাদিসে এসেছে সে হাদিসকে তাকরিরি বা সম্মতিসূচক হাদিস বলা হয়।
হাদিসের-বিভিন্ন-প্রকারভেদ
সনদ বা রাবির পরম্পরার দিক থেকে হাদিস আবার তিন প্রকার। যথা- মারফু, মাওকুফ, মাকতু। 

মারফু হাদিস
যে হাদিসের সনদ রাসুল (সাঃ) পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে মারফু হাদিস বলা হয়। 

মাওকুফ হাদিস
যে হাদিসের সনদ সাহাবি পর্যন্ত পৌঁছে শেষ হয়ে গেছে,  রাসুল (সাঃ) পর্যন্ত পৌঁছেনি এরুপ হাদিসকে মাওকুফ হাদিস বলে। 
মাকতু হাদিস
যে হাদিসের সনদ তাবিঈ পর্যন্ত পৌছেছে তাকে মাকতু হাদিস বলে। অন্যকথায়, যে হাদিসে কোনো তাবিঈর বাণী, কাজ ও মৌন সম্মতি বর্ণিত হয়েছে তাকে মাকতু হাদিস বলা হয়। 

হাদিসের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকার হলো হাদিসে কুদসি। কুদসি শব্দের অর্থ পবিত্র। এ প্রকার হাদিস সরাসরি আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পৃক্ত। ইসলামি পরিভাষায়, যে হাদিসের শব্দ ও ভাষা রাসুল (সাঃ)- এর নিজস্ব, কিন্তু তার অর্থ, ভাব ও মূলকথা আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে ইলহাম বা স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত, তাকে হাদিসে কুদসি বলে।

সংক্ষেপে, যে হাদিসের মূলকথা আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে প্রাপ্ত এবং মহানবি (সাঃ) নিজের ভাষায় তা উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন সেটাই হাদিসে কুদসি। হাদিসে কুদসির ভাব, অর্থ ও মূলকথা আল্লাহ তায়ালার হলেও তা আল-কুরাআনের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং এটি হাদিস হিসেবে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। 

হাদিস সংরক্ষণ ও সংকলন 

হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ এই আর্টিকেলে এখন আমরা জানবো হাদিস সংরক্ষণ ও সংকলন। রাসুল (সাঃ)- এর বাণী, কর্ম ও মৌনসম্মতি সাধারণভাবে হাদিস বলা হয়। সুতরাং রাসুল (সাঃ) থেকেই হাদিসের উৎপত্তি। রাসুল (সাঃ) -এর জীবদ্দশায় হাদিস লিখে রাখা নিষেধ ছিল। কেনোনা তখন আল-কুরআন নাজিল হচ্ছিল। এমত অবস্থায় মহানবি (সাঃ)- এর হাদিস লিখে রাখলে তা আল-কুরআনের বাণীর সাথে সংমিশ্রণের আশঙ্কা ছিল।

মূলত এ কারণে রাসুল (সাঃ)-এর জীবদ্দশায় হাদিস লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করা হয়নি। তবে সকল সাহাবিগণ মহানবি (সাঃ)-এর বাণীসমূহ মুখস্ত রাখতেন। আরবদের স্মৃতিশক্তি ছিল খুব অসাধারণ। তারা একবার যা স্মৃতিতে ধারণ করতেন তা কখনোই ভুলতেন না। রাসুল (সাঃ) কোন সময় কি কাজ করতেন তা খেয়াল রাখতেন। ফলে রাসুল (সাঃ)-এর প্রতিটি কাজ ও বাণী সাহাবিগণের স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকতো।

রাসুল (সাঃ) ও স্বয়ং সাহাবিদের হাদিস মুখস্ত করার জন্য উৎসাহিত করতেন। তিনি বলেন, "আল্লাহ ঐ ব্যক্তির জীবন উজ্জ্বল করবেন, যে আমার কথা শুনে তা মুখস্ত করল ও সঠিকরুপে সংরক্ষণ করল এবং এমন ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দিল যে শুনতে পায়নি।" (তাবারানি) তা ছাড়া লিখিত আকারেও সেসময় বেশ কিছু হাদিস সংরক্ষিত হয়।

বহু সাহাবি রাসুল (সাঃ)-এর অনুমতিক্রমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাদিস লিখে রাখতেন। এ প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ)-এর সহিফা 'আস- সাদিকা'-এর কথা উল্লেখযোগ্য। সহিফাতে তিনি রাসুল 
(সাঃ)-এর বহু সংখ্যক হাদিস লিখে রেখেছিলেন। তা ছাড়া  রাসুল (সাঃ)-এর চিঠিপত্র, সন্ধিপত্র-চুক্তিনামা, সনদ, ফরমান ইত্যাদি লিখিত আকারে সংরক্ষিত রেখেছিলেন।
 
হাদিস সংকলন ক্ষেত্রে উমাইয়া খলিফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযিয (রাঃ)-এর নাম উল্লেখযোগ্য। তিনিই সর্বপ্রথম সরকারি ভাবে হাদিস সংগ্রহ ও সংকলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় হাদিস সংগ্রহ ও সংকলন নতুন গতি সঞ্চার হয়। এর ধারাবাহিকতায় হযরত ইমাম মালিক (রাঃ) সর্বপ্রথম হাদিসের বিশুদ্ধ সংকলন তৈরি করেন। তার এ গ্রন্থের নাম আল-মুয়াত্তা। 

বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থ

হাদিস কি সহিহ হাদিসের প্রকারভেদ এই আর্টিকেলে এখন আমরা জানবো বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থ সম্পর্কে। হিজরি ৩য় শতকে ছিল সংকলনের স্বর্ণযুগ। এ সময় হাদিসের বিশুদ্ধতম ছয়টি কিতাব সংকলিত হয়। একত্রে সিহাহ সিত্তাহ বা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ বলা হয়। এ ছয়টি গ্রন্থ এবং এদের সংকলকগণের নামঃ 
বিশুদ্ধ-ছয়টি-হাদিস-গ্রন্থ
১. সহিহ বুখারি- ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল আল-বুখারি (র.) 
২. সহিহ মুসলিম- ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল-কুশাইরি (র.)
৩. সুনানে নাসাঈ- ইমাম আবু আব্দুর রহমান আহমদ ইবনে শুয়াইব আন-নাসাঈ (র.)
৪. সুনানে আবু দাউদ- ইমাম আবু দাউদ সুলায়মান ইবনে আশআস (র.) 
৫. জামি তিরমিযি- ইমাম আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ঈসা আত-তিরমিযি (র.)
৬. সুনানে ইবনে মাজাহ- ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাজাহ (র.)

হাদিসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা 

হাদিসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ইসলামি শরিয়তে হাদিসের গুরুত্ব অনেক। হাদিস হলো শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস। এটিও এক প্রকার ওহী। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নির্দেশনা প্রাপ্ত হয়েই মানুষকে নানা বিষয়ের নির্দেশনা প্রদান করতেন। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন
"আর তিনি নিজ প্রবৃত্তি থেকে কোন কথা বলেন না। তা তো ওহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।" ( সূরা আন-নাজম, আয়াত ৩-৪ ) 

সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর বাণী ও কাজের অনুসরণ করা আবশ্যক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আনুগত্য করার পক্ষান্তরে আল্লাহতালাকে আনুগত্য করা হয়। আল্লাহ তায়ালা এতে সন্তুষ্ট হন। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
"আপনি বলুন! তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে জেনে রাখুক, আল্লাহ তো কাফেরদের পছন্দ করেন না।" ( সূরা আলে-ইমরান, আয়াত ৩২ ) 

আল-হাদিস পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে শরীয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ, বিধি-বিধান ও মূলনীতি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করেছেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দায়িত্ব ছিল এসব বিধি-বিধান স্পষ্ট রূপে বর্ণনা করা। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
"আর আমি আপনার প্রতি কুরআন নাজিল করেছি, মানুষকে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যা তাদের প্রতি নাজিল করা হয়েছে।" ( সূরা আল-নাহল, আয়াত ৪৪ )

রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম কুরআনের বিধি-বিধানসমূহের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিতেন। অনেক ক্ষেত্রে নিজে আমল করার দ্বারা এসব বিধান হাতে-কলমে শিক্ষা দিতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর এসব বাণী ও কর্মই হাদিস। সুতরাং কুরআনের বিধি-বিধান সুস্পষ্ট রূপে অনুসরণ করার জন্য হাদিস অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

আর রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম-এর আদেশ-নিষেধের পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের জন্যও হাদিস জানা অত্যাবশক। কেননা হাদিসের মাধ্যমে আমরা এসব বিষয় জানতে পারি। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম স্বয়ং হাদিসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন-
"আমি তোমাদের মধ্যে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এ দুটি প্রস্তুকে আঁকড়ে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। এটা হলো আল্লাহর কিতাব আল কুরআন এবং অপরটি তার রাসুলের সুন্নাহ।" (মুয়াত্তা) ।

প্রকৃতপক্ষে, কুরআন ও হাদিস ইসলামী শরীয়তের সর্ব প্রধান দুটি উৎস। এগুলো মানুষকে সত্য, নেয় ও শান্তির পথে পরিচালনা করে। এ দুটোর শিক্ষা ও আদর্শ ত্যাগ করলে মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। সুতরাং মানব জীবনে আল-কুরআনের পাশাপাশি মহানবি (সাঃ)-এর হাদিসের প্রয়োজনীয়ও অনস্বীকার্য 

শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে হাদিস সম্পর্কে জানা আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ন। হাদিসের প্রকারভেদ ও হাদিস কাকে বলে এগুলো আমরা জানলাম। আর এগুলো অবশ্যই আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। 

এই আর্টিকেল পড়ে আমাদের যদি ভালো লাগে তবে কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। আমি চেষ্টা করেছি এখানে হাদিস সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরার।
 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url