সূরা আল-কদরের অনুবাদ ও ফজিলত
সূরা আল-কদরের অনুবাদ ও ফজিলত এই আর্টিকেলে আমরা জানবো এই সূরাটি কোথায় আবর্তন হয়েছে এর শানে নুযুল এর শব্দার্থ অনুবাদ ও ফজিলত। আল্লাহ তা'আলা আমাদের অগণিত নেয়ামত দান করেছেন।
তার অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে কুরআনুল কারিম অন্যতম শ্রেষ্ট নেয়ামত। কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যে অনেক ফজিলত আছে। যে ব্যক্তি কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করবে এবং এর ওপর আমল করবে আল্লাহ তা'আলা তাকে আখেরাতে বিরাট মর্যাদার অধিকারী করবেন।
সূচিপত্রঃ সূরা আল-কদরের অনুবাদ ও ফজিলত
সূরা আল-কদরের অনুবাদ ও ফজিলত
সূরা আল-কদরের অনুবাদ ও ফজিলত সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। এই সূরা অনেক ফজিলত রয়েছে। যা জানা আমাদের অনেক জরুরী। প্রতিটি মুসলমানের উচিত এটির অর্থ সহকারে এর ফজিলত সম্পর্কে জানা। আল্লাহপাক কুরআন নাযিল করেছেন মানুষের হেদায়েতের জন্য।বিভিন্ন সূরার মাধ্যমে হেদায়েতের পথ দেখানো হয়।
এ সূরার অনেক ফজিলত রয়েছে। এটা মূলত মানুষের গুনাহ মাপের একটি রাত। এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করলে তার গুনাহ খাতা আল্লাহ পাক মাফ করে দেন। কুরআন তেলাওয়াত কারীর পিতা-মাতাকে কর্ম দিবসে এমন একটি মুকুট পড়ানো হবে যার আলো সূর্যের আলোর চেয়ে উত্তম হবে। তাই আমাদের উচিত কোরআনকে বুঝে শুনে পড়া এবং তাদানুযায়ী আমল করা।
সূরা আল-কদরের পরিচয়
সূরা আল কদরের অনুবাদ ও ফজিলত এই আর্টিকেলে আমরা সূরা আল কদরের পরিচয় জানবো। সূরা আল কদর মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা পাঁচটি। আল কদর শব্দের অর্থ পরিমাণ নির্ধারণ বা ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ। আলোচ্য সূরার প্রথম আয়াতে কদর শব্দ হতে সূরাটির নাম লেখা হয়েছে আল কদর।
সূরা আল-কদরের শানে নুযুল
সূরা আল-কদরের অনুবাদ ও ফজিলত এই আর্টিকেলে আমরা এখন জানবো সূরা আল-কদরের শানে নুযুল। পূর্ববর্তী নবী ও তাদের উম্মতগণ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতেন। তারা বহু বছর আল্লাহর ইবাদত করার সুযোগ পেতেন। মহানবী সাঃ উম্মতের আয়ু অনেক কম। কাজেই তাদের পক্ষে আল্লার ইবাদত করা পূর্ববর্তী উম্মতের সমকক্ষ সম্ভব নয় বলে অনেকের ধারণা ছিল।
একবার সাহাবীগণ হুযুর (সা:) কে প্রশ্ন করলেন যে, তাহলে আমাদের দুর্ভাগ্য। আমরা পুণ্যে পূর্ববর্তী উম্মতদের সমকক্ষ হতে পারব না। তখন এই সূরাটি নাযিল হয়। এতে বলা হয় কদরের রাতের মর্যাদা হাজার মাস অপেক্ষা অধিক।এ রাতে আল্লাহর ইবাদত করলে হাজার মাস অধিককালের ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যাবে। এ পুণ্যময় রাত্রি রমজান মাসে শেষ দশ দিনের যে কোন বিজোড় তারিখের রাত।
অধিকাংশের মতে লাইলাতুল কদর রমজান মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত ২৭ এ রমজানের রাত। এ রাতেই সমগ্র কুরআন মাজীদ 'লাওহে মাহফুজ' থেকে দুনিয়ার নিকটতম আকাশে 'বায়তুল ইযযা' নামক স্থানে নাযিল হয়। এ রাতে ফেরেশতাগণ আল্লাহর রহমত নিয়ে পৃথিবীতে আসেন এবং সুবহি সাদিক পর্যন্ত থাকেন।
সূরা আল-কদরের শব্দার্থ
সূরা আল-কদরের অনুবাদ ও ফজিলত এখন আমরা জানবো সূরা আল-কদরের শব্দার্থ।
শব্দ | অর্থ |
---|---|
আন্ যালনা | এটি নাযিল করেছি |
ওমা আদরকা | এবং আপনি কি জানেন |
মা | কি |
আলফি | হাজার |
তানাযযালু | অবতরণ করে |
সাহ্রু | মাস |
মাতলাউ | উদয়ের সময় |
মালাইকাতু | ফেরেস্তাগ্ণ |
রুহ্ | আত্না, জিবরাঈল (আ)-এর এক নাম রুহুল কুদস বা পবিত্র আত্না |
হাত্তা | পর্যন্ত |
সালামুন | শান্তি |
আল-কদর | মর্যাদা, ভাগ্য, মহিমা |
সূরা আল-কদরের অনুবাদ
এখন আমরা জানবো সূরা আল-কদরের অনুবাদ-
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।
১. আমি কুরআনকে এক মহিমান্বিত রাতে নাযিল করেছি।
২. আর আপনি কি জানেন এ মহিমান্বিত রাতটি কী ?
৩. মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।
৪. এ রাতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রুহ (জিবরাঈল)
নাযিল হয়, তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
৫. সে রাতের প্রভাত উদয় হওয়া পর্যন্ত শান্তিই শান্তি (বিরাজ করে)।
সূরা আল-কদরের ফজিলত
সূরা আল-কদরের ফজিলত অনেক। কদরের রাত বা শবে কদরে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়। এ রাত অত্যন্ত মর্যাদাবান। এ রাতের নফল ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত হতেও বেশি সওয়াবের অর্থাৎ এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ বরকতময় রাতে ফেরেশতাগণ ও জিবরাঈল (আ) পৃথিবীতে নেমে আসেন।
তারা আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে বান্দাদের জন্য সালাম অর্থাৎ শান্তির সওগাত বয়ে নিয়ে আসেন। আল্লাহ তা'আলা এ রাতে রহমতের দরজা খুলে দেন। এ সময় তওবা করলে কবুল হয়। আর ইবাদত-বন্দেগী করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম সূরা আল-কদরের অনুবাদ ও ফজিলত থেকে যে এই সূরায় অনেক ফজিলত রয়েছে ও আমল বাড়ানোর উপায় রয়েছে। আমরা এই সূরায় শবে কদরের ফজিলত ও মহিমা জানলাম এ রাতের তাৎপর্য বুঝলাম।
আমরা এ রাতে অধিক ইবাদত-বন্দেগী করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করব। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে বা যদি কোনো আমার আর্টিকেলে ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url