৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়, এত দ্রুত ওজন কমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানো স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ নয়, এ ধরনের দ্রুত ওজন কমানো শরীরের পেশীর ক্ষতি করে যা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে।

৭-দিনে-১০-কেজি-ওজন-কমানোর-উপায়তবে আপনি যদি ওজন দ্রুত কমানোর কোন উপায় খুঁজছেন, তাহলে নিম্নে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হলো। মনে রাখবেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এমন দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকা উচিত।

সূচিপত্রঃ ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় নাটকীয়তা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে যদি এটা সাত দিনে ১০ কেজি কমানো সম্ভবও হয় তবে এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে। কেননা খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমানো চিকিৎসকরা অনেক ক্ষতিকর দিকগুলো উল্লেখ করেন। আমাদের সর্বোত্তম চেষ্টা করতে হবে এগুলো না করে ধীরে ধীরে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

মনে রাখা উচিত কোন কিছুই তাড়াতাড়ি সফলতা এনে দিতে পারেনা। তাই নিজেকে সুস্থ্য এবং সুন্দর রাখতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম কানুন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলে ওজন কমাতে হবে। সেটা সাত দিনের জায়গায় ১০ দিন ১৫ দিন এমনকি এক মাসের সময় লাগতে পারে।

ওজন কমানোর জন্য ক্যালোরি কমিয়ে ফেলা

ওজন কমানোর জন্য ক্যালোরি কমিয়ে ফেলা উচিত। কেননা ক্যালোরি কমালে শরীরের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় এই প্রবন্ধে এ বিষয়টি আমরা চলুন জেনে নেই।

আপনার দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণ কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালোরির ঘাটতি সৃষ্টি করলে চর্বি পোড়ায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উচ্চ প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করুন, তাহলে আপনার ওজন কমা শুরু হবে।

আরও পড়ুনঃ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার

পানি গ্রহণ বাড়ানো ওজন কমানোর উপায়

পানি গ্রহণ বাড়ানো ওজন কমানোর ভালো ও সহজ একটি উপায়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। শরীরে সঠিক মাত্রায় পানি থাকলে ওজন কমানো সম্ভব। নিম্নে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় এই আর্টিকেলে এ বিষয়টি তুলে ধরা হলো।

আপনি যদি প্রতিদিন বেশি পরিমাণে পানি পান করেন, তাহলে এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। বিশেষ করে খাবারের আগে যদি আপনি পানি পান করেন, তাহলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ফলে ওজন কমানো সম্ভব হবে।

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

ওজন কমানোর জন্য শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি

ওজন কমানোর জন্য শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে  শরীরের ওজন কমতে শুরু হয়। ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় এই প্রবন্ধে এখন আমরা এ সম্পর্কে চলুন জেনে নেই।

ওজন-কমানোর-জন্য-শারীরিক-কার্যকলাপ-বৃদ্ধি-করতে-হবেপ্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের শারীরিক ব্যায়াম করুন, নিয়মিত এই ব্যায়াম আপনার শরীরকে ভালো রাখবে, পাশাপাশি ওজন কমানো সম্ভব হবে। যেমন দ্রুত হাঁটা, দৌড়, সাইকেলিং বা কার্ডিও ব্যায়াম যা ক্যালোরি পড়াতে কার্যকারী। এগুলো করতে হবে তাহলে দ্রুত ওজন কমবে। 

লবণ গ্রহণ সীমিত করে ওজন কমানো

লবণ গ্রহণ সীমিত করে ওজন কমানো সম্ভব। কেননা শরীরে যদি লবণ বেশি থাকে তাহলে ওজন কমে না। শরীর থেকে লবণ বের করে দিলে ওজন কমে। তাই আমাদের লবণ গ্রহণ সীমিত করা উচিত। নিম্নে এ বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো।

লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে, যা ওজন কমাতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। তাই লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিলে শরীরে ওজন কমতে পারে। তাই লবণ গ্রহণ কমানো উচিত।

আরও পড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা

চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম। এসকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত না থাকলে ওজন কমানো সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত এ সকল খাবার খেলে শরীরের আরও নানা রকম সমস্যাও হয়। 

প্রক্রিয়াজাত এবং উচ্চ শর্করা যুক্ত খাবার যেমন সফট ড্রিংকস, ফাস্টফুড এবং মিষ্টি খাবার খাওয়া বন্ধ করলে শরীরের ওজন কমবে। আর যদি এগুলো খান তাহলে ওজন বাড়বে ও শরীরে জন্য ক্ষতিকর হবে।

আরও পড়ুনঃ দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে

প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ

প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে শরীরের ওজন কমে। কেননা এ সকল খাদ্য গ্রহণ করলে পেটে ক্ষুধা কম হয়। ফলে খাবার কম লাগে এবং সেইসাথে ওজন কমতে সাহায্য করে। নিম্নের বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।
প্রোটিন-এবং-ফাইবার-সমৃদ্ধ-খাবার-গ্রহণ
প্রতিদিন উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন মুরগির মাংস, ডিম এবং দুধ খান, এগুলো প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এগুলো খেলে আপনার ওজন কমতে শুরু হবে। প্রোটিন ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে এবং এটি পেশী গঠনে সাহায্য করে। ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন শাক-সবজি এবং ফল ওজন কমাতে সহায়ক, কারণ এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমানোর অন্যতম উপায়

পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমানোর অন্যতম উপায়। ঘুম শরীরে মানুষের নানা রকম ভারসাম্য বজায় রাখে।নিয়ম মত ঘুমালে শরীর ভালো থাকে। ঠিকমত ঘুমালে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব হয়। 

প্রতিদিন সাত-আট ঘন্টা ঘুমান। যদি ঘুম কম হয় তাহলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যা ক্ষুধা এবং ওজন বাড়াতে থাকে।  

শেষ কথা

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয় এবং এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আদর্শ ভাবে আপনি যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন, তাহলে ধীরে ধীরে ওজন কমানো সম্ভব।

দ্রুত ওজন কমানোর চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যকর উপায় অবলম্বন করা উচিত। কেননা স্বাস্থ্যের প্রতি একটু অযত্নশীল হলেই স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজের শরীরকে ভালো রাখতে হলে শর্টকাট কোন টেকনিক ব্যবহার না করাই ভালো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url