আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় জানতে হলে আমাদের অবশ্যই আপেল সিডার ভিনেগার কি এর বিস্তারিত বিষয়াদি সম্পর্কে গুরুত্বসহকারে বুঝতে হবে। কেননা এটি খাওয়ার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যেটা না মানলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
আপেল সিডার ভিনেগার বিভিন্ন স্বাস্থ্যের উপকারিতার জন্য পরিচিত। এটি বিশেষভাবে ওজন কমানো, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের যত্ন ও পাচনতন্ত্রের উন্নতি ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়ের ভিন্নতা রয়েছে। এটি খাওয়ার কিছু সময় আছে যা আমাদের মেনে চলা উচিত। এ খাওয়ার সময় গুলো ঠিকভাবে খেলে শরীরে প্রতিক্রিয়া ফেলেনা। তাই আমাদের এটি খাওয়ার উপযুক্ত সময় জানা উচিত। চলুন জেনে নেই আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার জন্য দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময় সবচেয়ে উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে খালি পেটে বা রাতের খাবারের পর এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া অনেক ভালো। এটি হজম শক্তি বাড়াতে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে থাকে।
আপেল সিডার ভিনেগারের উৎপত্তি
আপেল সিডার ভিনেগারের উৎপত্তি আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে চলুন জেনে নেই আপেল সিডার ভিনেগারের উৎপত্তি ও আপেল সিডার কি এর সম্পর্কে।
আপেল সিডার ভিনেগার ( ACV ) হলো আপেল থেকে তৈরি ভিনেগারের একটি প্রকারভেদ। এটি আপেলের ফারমেন্ট করে তৈরি করা হয়ে থাকে। ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে আপেলের শর্করা প্রথমে অ্যালকোহলে এবং পরে তা অ্যাসিটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত করা হয়।
সাধারণত রান্না, প্রাকৃতিক ওষুধ এবং সৌন্দর্য চর্চায় এটি ব্যবহার করা হয়। আপেল সিডার ভিনেগার প্রধান কার্যকর উপাদান অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখে, হজমে সহায়তা করে এবং জীবাণু ধ্বংস করে।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় এই আর্টকেলে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা আপনাদের মাঝে উল্লেখ করা হলো।
খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা অনেক। খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে মেটাবলিজমের গতি বাড়ে, যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এটি পাচনতন্ত্রকে শুদ্ধ করে থাকে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে এবং পুরো শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। তবে সঠিক পরিমাণ মেনে খাওয়া উচিত, নাহলে অতিরিক্ত এসিডিটি হতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যায়। এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড ক্ষুধা কমায় এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে থাকে। এটা শরীরের ফ্যাট কমাতেও অনেক সাহায্য করে, বিশেষ করে পেটের ফ্যাট। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত খেলে শরীরের ফ্যাট কমতে পারে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া হয়। আপেল সিডার ভিনেগার ইনসুলিন সংবেদনশীল বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অনেক উপকারী। তবে, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যবহার করা উচিত বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান।
পাচনতন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী। আপেল সিডার ভিনেগার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিকের প্রতিরোধ করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। এর এনজাইম এবং প্রোবায়োটিক উপাদান গুলি পাচন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের যত্নে আপেল সিডার ভিনেগার বেশ উপকারী একটি উপাদান। এটি দাগ, ব্রণ ও এলার্জি চিকিৎসায় বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। এর আন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা কাশি ইত্যাদি থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আপেল সিডার ভিনেগারের সঠিক পরিমাণ
আপেল সিডার ভিনেগার এর সঠিক পরিমাণ সাধারণত নির্ভর করে কোন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও উদ্দেশ্যের ওপর।প্রতিদিন সেবার জন্য, ১-২ টেবিল চামচ ( ১৫-২০ মি.লি. ) ভিনেগার এক গ্লাস ( ২৫০ মি.লি. ) পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। ওজন কমানোর জন্য, ওজন কমাতে ডাইজেশন উন্নত করতে সাধারণত খালি পেটে সকালে বা প্রতিটি খাবারের আগে ১ টেবিল চামচ করে খাওয়া যায়।
আপেল সিডার ভিনেগারের সঠিক পরিমাণ প্রতিদিন ১-২ চামচ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যথেষ্ট। এটি খাওয়ার জন্য এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। সরাসরি খেলে দাঁতের এনামেল ক্ষতি হয়।অতিরিক্ত সেবনে গ্যাস্টিকের সমস্যা বা পেটের অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আপেল সিডার ভিনেগার কত দিন খাওয়া যায় চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আপেল সিডার ভিনেগার দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়। তবে এটি সঠিক পরিমাণ এবং নির্দিষ্ট নিয়মে খেতে হবে। প্রতিদিন .১-২ টেবিল চামচ ১৫ থেকে ৩০ মিলি এর বেশি খাওয়া পরামর্শের যোগ্য নয়। এইমাত্রা রক্ষা করে খেলে মাসের পর মাস বা বছর পর বছরে এটি খাওয়া যেতে পারে।
তবে দীর্ঘদিন অতিরিক্ত খেলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন পটাশিয়ামের মাত্রা কম হয়ে যেতে পারে, আবার হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে এবং দাঁতের অ্যানিমেল ক্ষয় হতে পারে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে যেকোনো খাদ্য সম্পূরক বা ভেষজ দীর্ঘমেয়াদি খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
আপেল সিডার ভিনেগার বেছে নেওয়ার সময় কিছু করণীয় আছে। যেগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত। নিম্নে আপেল সিডার ভিনেগার বেছে নেওয়ার সময় করণীয় কাজগুলো উল্লেখ করা হলো।
বাজারে নানা ধরনের আপেল সিডার ভিনেগার পাওয়া যায়। তবে অর্গানিক, আনফিল্ডারড বা আনপাস্টুরাইজড অ্যাপেল সিডেগার ভিনেগার বেছে নেওয়ায় উত্তম বলে আমি মনে করি। যাতে ভিনেগারের সব প্রাকৃতিক উপাদান অক্ষত অবস্থায় থাকে। এ ধরনের ভিনেগারের বোতলের তলায় কিছু ফাঁপা পদার্থ ( মাদার ) থাকতে পারে। যা ভিনেগারের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার অংশ, এটি স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী বলে বিবেচিত।
বাজার থেকে যে কোনো সস্তা এবং পরিশোধিত ভিনিগার কেনা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এটাতে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান অনুপস্থিত থাকতে পারে। এছাড়া, লেভেল পড়ে নিশ্চিত হয়ে নিন, যেন কোন অতিরিক্ত চিনি বা রং যোগ করা না থাকে।
আপেল সিডার ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখতে হয়
আপেল সিডার ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখতে হয় এই প্রবন্ধে আমরা এখন তা বিস্তারিত জানবো। আপেল সিডার ভিনেগার ফ্রিজে রাখতে হয় না। সাধারণত, একটি ঘরের তাপমাত্রায় রাখলেই বা সংরক্ষণ করলেই দীর্ঘ সময় ভালো থাকে। তবে এটি শীতল বা অন্ধকার জায়গায় রাখা উচিত। যেমন মনে করেন কোন ক্যাবিনেট বা প্যান্ট্রি, যা সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকে।
যেহেতু আপেল সিডার ভিনেগারে উচ্চ মাত্রায় এসিড থাকে, সেহেতু এটা নিজেই সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত, তাই ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন হয় না। ফ্রিজে রাখলে কিছু সময়ের জন্য একটু ভিনেগার স্বাদ ও গুণগতমান অক্ষুন্ন থাকতে পারে, তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। তবে যদি আপনি আপেল সিডার ভিনেগারে কোন সংমিশ্রণ বা স্বাদ যোগ করে থাকেন, তবে সে ক্ষেত্রে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
আপেল সিডার ভিনেগারের ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগারের ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় এই আর্টিকেলে এখন তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। নিম্নে আপেল সিডার ভিনেগার .২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা উল্লেখ করা হলো।
আপেল সিডার ভিনেগার ত্বকের যত্নে ব্যবহার হয়।
এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এটি পাচনতন্ত্রকে ভালো রাখে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে।
ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
কাশি থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এলার্জি ভালো করে থাকে।
পেটের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।
আপেল সিডার ভিনেগার কাদের খাওয়া উচিত নয়
আপেল সিডার ভিনেগার কাদের খাওয়া উচিত নয় আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় এই আর্টিকেলে এখন আমরা এর বিষয়টি বিস্তারিত জানবো। আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া সব সময় সবার জন্য উপযুক্ত হয় না। কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
যেমন গ্যাস্ট্রিক এসিডিটির সমস্যা থাকলে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া ঠিক নয়। এটাতে উচ্চ এসিডিক থাকে, যা গ্যাস্ট্রিক, আলসার বা অ্যাসিড রিফ্লেক্স এর সমস্যা কে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এরপরে রয়েছে গর্ভবতী স্তন্যদানকারী নারীরা। আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা না থাকায় গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীরা এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। এবং সেই সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়া যারা ইনসুলিন বা ডায়াবেটিস ঔষধ গ্রহণ করে তারা যেন আপেল সিডার ভিনেগার এড়িয়ে চলে।কেননা আপেল সিডার ভিনেগার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস ওষুধের সাথে এটি খেলে রক্তের শর্করা অতিরিক্ত কমে যায়। ফলে শরীরে নানাবিদ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত।
এরপরে রয়েছে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকলে। আপেল সিডার ভিনেগার দীর্ঘমেয়াদী অতিরিক্ত খেলে শরীরের পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়, যা হৃদপিণ্ড এবং পেশির ওপর প্রভাব ফেলে। তাছাড়া যারা দাঁতের অ্যানিমেল সমস্যায় ভুগে তাদের ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে চলা উচিত। কেননা এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি দাঁতের এনিমেল ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আপেল সিডার ভিনেগারের দাম
আপেল সিডার ভিনেগারের দাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হতে পারে। এটা আমাদের দেশেও বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়।মূলত বাংলাদেশের আপেল সিডার ভিনেগারের দাম বিভিন্ন ব্র্যান্ড অনুযায়ী হয়। এছাড়া অনেকাংশে এটি বিক্রেতার ওপর নির্ভর করে। নিম্নে কয়েকটি আপেল সিডার ভিনেগারের দাম উল্লেখ করা হলো।
Bragg Organic Apple Cider Vinegar ( 946 ml ) ব্র্যাগ অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার ৯৪৬ml এই প্রোডাক্টটি কিছু জায়গায় বিক্রি হয় একদমই আবার কিছু জায়গায় বিক্রয় আরেক দামে। যেমন কিছু জায়গায় বিক্রি হচ্ছে এটা প্রায় ৮৮০ টাকা, আবার কিছু জায়গায় বিক্রেতাকা এটি বিক্রি করছে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সঠিকভাবে পরিমিত পরিমাণে খেলে এর বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।তবে আপেল সিডার ভিনেগার সতর্কতার সাথে বেছে নিতে হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের খারাপ প্রোডাক্ট থাকে।
সতর্কতার সাথে সঠিক ধরনের ভিনেগার বেছে নেওয়া এবং সঠিক সময় সঠিক পদ্ধতি জেনে খাওয়া উচিত। তাহলে এর গুনাগুন আমরা সঠিক মাত্রায় পাবো। তাই এটা বেছে নেওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url