ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় এই আর্টিকেলে এখন আমরা জানবো কিভাবে খুব দ্রুত প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস কমানো যায়। ডায়াবেটিস এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা রক্তে শর্করা বৃদ্ধি করে।এটা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক জরুরী।

ডায়াবেটিস-কমানোর-প্রাকৃতিক-উপায়এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করলে হার্ট, কিডনি, চোখ, অন্যান্য অঙ্গ পতঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। ডায়াবেটিস কমানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ পাওয়া গেলেও প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই আর্টিকেলে আমরা এখন তা আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় এই আর্টিকেলে আমরা ডায়াবেটিস কমানোর বিস্তারিত বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় এর মধ্যে অন্যতম উপায় হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন। এমন খাবার খেতে হবে যাতে শর্করা পরিমাণ কম থাকে।কেননা শর্করা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাওয়া ঠিক নয়।

এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে। সেই সকল খাবারগুলো খেতে হবে। এছাড়া প্রাকৃতিক চিনি গ্রহণ করতে হবে যেমন ফলমূল মধু থেকে পাওয়া চিনি এগুলো। এমন ধরনের শাকসবজি ফলমূল খেতে হবে যেগুলো আশযুক্ত ফলমূল বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। 

এর পরের বিষয় হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে যেমন হাটাহাটি, ৩০ মিনিটের মত হাটাহাটি করতে হবে বা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে হবে। এর মধ্যে আপনি হাঁটতে পারেন আবার সাঁতার কাটতে পারবেন সাইকেল চালাতে পারবেন আবার যোগব্যায়ামও করতে পারবেন। অতিরিক্ত ওজনও অনেক খারাপ বিষয় তাই অতিরিক্ত ওজন খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে অতিরিক্ত ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে

কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে এখন আমরা ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় এ আর্টিকেলে বিস্তারিত জানবো।সঠিক খাদ্য নির্বাচনে রক্তের শর্করার মাত্রা সঠিক থাকে। নিম্নে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করা হলো।

আশযুক্ত শাকসবজি এ ধরনের সবজিতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় এবং ইনসুলিন সংবেদনশীল বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাবার হচ্ছে শাক, পালং শাক, ফুলকপির, বাঁধাকপি, ব্রোকলি। লো-জি আই ফলমূল এসকল ফলমূল প্রাকৃতিক চিনি থাকে তাই এগুলো গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সের হয়, যার রক্তে শর্করার মাত্রা দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করে।

এ সকল ফল মনে হচ্ছে আপেল, নাশপাতি, বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি) স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। বীজ এবং বাদাম অর্থাৎ পুদিনা এবং বীজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।এগুলো শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভালো। যেমন চিয়া বীজ, ফ্লেক্স সিড, বাদাম (আলমন্ড, আখরোট)।

খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় একটি অন্যতম বিষয়।চলুন জেনে নেই কিভাবে খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানো সম্ভব। প্রথমে আমাদের খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে, শর্করাযুক্ত খাদ্য কম গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি আশযুক্ত ও প্রোটিন যেমন ডিম, বাদাম, দুধ এ সকল খাদ্য খেতে হবে।

এর পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, অত্যন্ত ৩০ মিনিট দৌড়াতে হবে বা যোগব্যায়াম অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। সকালে খালি পেটে এ সকল ব্যায়ামগুলো ডায়াবেটিস কমানোর অন্যতম একটি কাজ। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে, কেননা রক্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকলে শর্করার  মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।

এছাড়া খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে মেথি দানা মিশিয়ে খেলে তা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া প্রতিদিন খালি পেটে তুলসী পাতা রস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এভাবে আপনি খালি পেটে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ওষুধ ছাড়ায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায় গুলো এখন আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। আসলে কিছু নিয়ম কানুন আছে, যেগুলো শুধু ওষুধ খেলে যে ডায়াবেটিস কমবে তা না এতে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে যদি আপনি ডায়াবেটিস কমাতে চান তাহলে আপনার শরীরে কোন ক্ষতি হবে না।
ওষুধ-ছাড়ায়-ডায়াবেটিস-কমানোর-উপায়
ওষুধ ছাড়াই আপনি ডায়াবেটিস কমাতে পারবেন। ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমাতে হলে প্রথমে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম মাফিক যদি আপনি ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীরের রক্ত চলাচল ভালো থাকবে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাই অন্তত প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা ব্যায়াম করা উচিত। 

এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অনেকাংশেই ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে শরীরের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো উচিত অন্তত কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।

এরপরে আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপ কমাতে হবে। মানসিক চাপ ডায়াবেটিস সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। এবং শ্বাস প্রশ্বাসের নিয়ম অনুশীলন করতে পারেন।এগুলো করলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।

এরপরে আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের যদি ওজন বেশি হয় এই অতিরিক্ত ওজনের কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হবে না। তাই আপনাকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলে ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে।

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের ওষুধ আবিষ্কার

ডায়াবেটিস জিরো ধরনের ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং এর উপসর্গ থেকে মুক্তি থাকার জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা ও জীবনধারার পরিবর্তনের উপায় আছে। ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময়ের পথে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবে স্থায়ী সমাধান এখনো পরীক্ষার পর্যায়ের মধ্যে রয়েছে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো একটি বর্তমান পদ্ধতির নাম ইনসুলিন থেরাপি। এটি ডায়াবেটিস টাইপ এক রোগীদের জন্য ইনজেকশন। এটি শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়।

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের জন্য গবেষণায় অগ্রগতি হচ্ছে। স্টেম সেল থেরাপিবায়োনিক প্যানক্রিয়াস, এবং অন্যান্য প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চলছে, যা ডায়বেটিস নিরাময়ের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় বলে বিবেচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ডায়াবেটিস নতুন ওষুধ 

ডায়াবেটিসের নতুন ওষুধ গবেষণা চলমান রয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসার জন্য নতুন ওষুধ এবং থেরাপির গবেষণা এখনো চলমান রয়েছে, কিন্তু কিছু ওষুধ বাজারে এসেছে যার প্রকারভেদ অনুযায়ী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকর হতে পারে। নিম্নে কিছু নতুন গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উল্লেখ করা হলো।

সেমাগ্লুটাইড ( Semaglutide ) এটি GLP-1 রিসেপ্টর এ্যাগোনিস্ট ওষুধ, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। এটি ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায় ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। টিরজেপাটাইড ( Tirzepatide ) এটি নতুন ওষুধ যা GLP-1 এবং GIP রিসেপ্টর এ্যাগোনিস্ট হিসেবে কাজ করে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ইম্প্যাগ্লিফ্লোজিন ( Empagliflozin )  এটি  SGLT 2 ইনহিবিটর গ্রুপের ওষুধ, যা কিডনির মাধ্যমে অতিরিক্ত শর্করা বের করে দেয়। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ব্যবহৃত হয়, পাশাপাশি হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে। অজম্পিক ( Ozempic ) এটি ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। এটিও GLP-1 রিসেপ্টর এ্যাগোনিস্ট, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

ড্যাপাগ্লিফ্লোজিন ( Dapagliflozin ) এটি আরেকটি SGLT 2 ইনহিবিটর। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি কিডনি ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিম্নে ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা উল্লেখ করা হলো।
ডায়বেটিস-রোগীর-খাবার-তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীর খাবারের তালিকা সকালের নাস্তা ৮:০০ হতে ৯:০০ টার মধ্যে। সকালের নাস্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি শরীরকে দিনের শুরুতে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে থাকে। সকালে আপনি খেতে পারেন গোটা শস্যের রুটি বা আটা রুটি এক থেকে দুইটি। 

এরপরে খেতে পারেন এক টুকরো পেঁপে আপেল বা কমলালেবু, যদি দুধ বা দই থাকে লো-ফ্যাটের এবং একটি সিদ্ধ ডিম বা আমলেট খেতে পারেন। তারপর মাঝারি সকালের খাবার ১১ টা হতে ১১-৩০ এর মধ্যে। এ সময় এক মুঠো বাদাম যেমন আমমন্ড বা আখরোট। ফলের ভিতরে আপেল বা নাশপাতি এবং একটি গ্রিন টি চিনি ছাড়া খেতে পারেন।

দুপুরের খাবার ১ টা হতে ২ টার মধ্যে। এ সময় খেতে পারেন গোটা শস্যের ভাত অল্প পরিমাণে, মাছ বা মুরগির মাংস কম তেল দিয়ে রান্না করে, সবজির ভিতরে শাক-সবজি পটল বেগুন মিষ্টি কুমড়া, ডালের ভিতরে মসুর বা মুগ ডাল, ফলের ভিতরে এক টুকরো পেঁপে বা শসা খেতে পারেন।

বিকেলের নাস্তায় আপনি চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে অল্প পরিমাণ বাদাম বা চিয়া বীজ খেতে পারেন।গ্রিন টি বা লেমন টি চিনি ছাড়া খেতে পারেন। রাতের খাবার আপনাকে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। রাতে খাওয়ার সময় সবজি সুপ কম তেল দিয়ে রান্না, এক গ্লাস লো-ফ্যাট দুধ বা দই, আটার রুটি একটি থেকে দুটি খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক ফলই খাওয়া যায় না। ডাইবেটিস হলে যে সকল ফল খাওয়া যাবে না তা নিম্নে তুলে ধরা হলো।

আঙ্গুর, আঙ্গুরে উচ্চ পরিমাণে শর্করা থাকে যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তাই আঙ্গুর খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের এড়িয়ে চলতে হবে। আম, আম খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি জাতীয় ফল এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। বিশেষ করে পাকা আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ( GI ) বেশি পাওয়া যায়, যা শরীরে শর্করার মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই আম খাওয়া পরিহার করতে হবে।

কলা, কলাতে শর্করার পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে পাকা কলাতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক অনেক বাড়িয়ে দেয়। লিচু, লিচুতে শর্করা বেশি দ্রুত রক্তে শর্করা বৃদ্ধি করে তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

আনারস, আনারসে উচ্চ শর্করা আছে এবং এটি খেলে রক্তের গ্লুকোজ খুবই দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই আনারস ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। পেঁপে, যদিও পেঁপে অনেকের জন্য পুষ্টিকর তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি কম খেতে হবে। কেননা পেঁপেতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা এ বিষয়ে এখন আলোচনা করা হবে। ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় এই আর্টিকেলে আপনারা এতক্ষণ অনেক বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এখন চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা।

আলু, আলুতে উচ্চমাত্রায় শর্করা থাকে যা রক্তে শর্করা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। ডাইবেটিস রোগীদের জন্য আলু খাওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ, কেননা আলুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। মিষ্টি আলু, তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হওয়ায় ডাইবেটিস রোগীরা এটি সীমিতভাবে গ্রহণ করতে পারবেন।

ভুট্টা, ভুট্টা একটি উচ্চ গ্লাইসেমিক সবজি, যা রক্তে শর্করা বাড়ায়।  ভুট্টা শর্করার পরিমাণ বেশি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া থেকে এটা এড়িয়ে চলা উচিত। বিট বা বিটরুট, বিটরুটে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করা মাত্রা বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিসের জন্য এই সবজি নিয়ন্ত্রণ পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।

পাকা টমেটো, পাকা টমেটোতে কিছু পরিমাণ চিনি থাকে। যদিও এটি খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয় তবে রক্তে শর্করা পরিমাণ বাড়ায় এ কারণে এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। গাজর, যদিও গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A থাকে এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান আছে। এটি শর্করার পরিমাণ খুব দ্রুত বাড়ায় তবে এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয় বরং নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় ডায়াবেটিসের এই উক্ত নিয়ম গুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই আপনি ডায়াবেটিস প্রাকৃতিক উপায়েই বাড়ি থেকেই খুব সহজেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাবেন। 
সঠিক ভাবে যা আলোচনা করা হয়েছে তা যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই ডায়াবেটিস আপনার নিয়ন্ত্রণ হবে। 

আপনাকে অবশ্যই খাওয়া দেখে থেকে শুরু করে ব্যায়াম এমনকি যেসব ওষুধগুলোর কথা বললাম সেগুলো যদি আপনি ঠিক ভাবে সেবন করেন বা পালন করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে আমি আশা করি। তবে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url