মাষকলাই ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা - মাষকলাই চাষের সময় ও পোকা দমন

• মাষকলাই ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা
• মাষকলাই ডালের ১০ টি উপকারিতা
• মাষকলাই ডালের ৫ টি অপকারিতা
• মাষকলাই ডাল খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
• মাষকলাই চাষের উপযুক্ত সময়
• মাষকলাই চাষে জমি তৈরির পদ্ধতি
• মাষকলাই চাষে সেচ ও সার
• মাষকলাইয়ের পোকা দমন
• মাষকলাই ডাল সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
• মাষকলাইয়ের যত্ন ও টিপস
• শেষ মন্তব্য

• কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
• রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
• এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারি।
• এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
• এটি ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
• এই ডাল হৃদপিন্ডের স্ব্যাস্থের উন্নতিতে সহায়তা করে থাকে।
• এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।
• এই ডাল আমাদের পেশী গঠনে সহায়ক।
• এই ডাল আমাদের শরীরের শক্তি যোগায়।
• এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

আরও পড়ুনঃ নুডুলস এর উপকারিতা ও অপকারিতা - বিস্তারিত জানুন

• এই ডাল কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
• এই ডাল অনেকের মাঝে হজম সমস্যা দেখা দেয়।
• এটি খেলে কারও অ্যালার্জি হতে পারে।
• যারা গাউড বা আরথ্রাইটিস সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এ ডাল অনেক ঝুকিপূর্ণ।
• এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ লাল চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - বিস্তারিত জানুন

• মাষকলাই ডাল খাওয়ার আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা ভালো, এতে ডাল দ্রুত সিদ্ধ হবে এবং পুষ্টি উপাদান গুলো সহজে শোষিত হবে।
• ডাল রান্না করার সময় পানির ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি পানি হলে ডাল পাতলা হয়ে যেতে পারে আর কম পানি হলে ডাল সিদ্ধ সময় নিতে পারে। সাধারণত এক কাপ ডালের জন্য তিন কাপ পানি ব্যবহার করা উচিত।
• ডাল ভালোভাবে সেদ্ধ হতে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় নিতে পারে। যদি প্রেসার কুকার ব্যবহার করেন তবে দুই থেকে তিন সিটি ব্যবহারের ভিতরে হয়ে যাবে।
• এই ডালের সাথে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মসলা বিভিন্ন ধরনের সাথে তেল বা ঘি যোগ করলে স্বাস্থ্যকর হয় এবং এটা খেতে ভালো লাগে।
• রান্না শেষে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা এবং গরম মসলা দিয়ে ডালের স্বাদ আরো ভালো করা যায়।

• খরিপ মৌসুম
• রবি মৌসুম

• খরিপ মৌসুম- জুন ও জুলাই মাসে খরিপ মৌসুমে মাসকলাই চাষ শুরু হয়। এ সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত থাকে বলে চাষের জন্য ভালো সময়।
• রবি মৌসুমী- অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে রবি মৌসুমে মাসকলাই চাষ করা হয়। এ মৌসুমী বৃষ্টিপাত কম থাকে, তবে সেচের সুবিধা থাকলে চাষে সফল হওয়া যায়।

• মাষকলাই চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। মাটিতে জৈব সার ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করে জমি তৈরি করতে হয়।
• জমিতে দুই থেকে তিনবার চাষ এবং মই দিয়ে সমান করতে হবে।
• বীজ বপনের আগে প্রতি হেক্টরে ১০ থেকে ১৫ কেজি বীজ প্রয়োজন হবে।

আরও পড়ুনঃ লিচু কোন মাটিতে ভালো হয় - লিচু চারা লাগানোর নিয়ম

মাষকলাই চাষে সেচ ও সার

• সেচ ব্যবস্থাপনায় রয়েছে- খরিপ মৌসুমে সাধারনত বৃষ্টি নির্ভর থাকে। তবে রবি মৌসুমে প্রয়োজন অনুযায়ী এক থেকে দুইবার সেচ দিতে হতে পারে।
• সার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে- সাধারণত প্রতি হেক্টরে ২০ থেকে ২৫ কেজি ইউরিয়া, ৪০ থেকে ৫০ কেজি ফসফেট এবং ১৫ থেকে ২০ কেজি পটাশ প্রয়োগ করতে হয়। গাছ বৃদ্ধির সময় ফলনের আগে, সার প্রয়োগ করা উচিত।

• লক্ষণঃ গাছের পাতায় বিষন্নভাব এবং পাতা হলুদ হয়ে যায়।
• দমন পদ্ধতিঃ নিম তেল বা অর্গানিক কীটনাশক স্প্রে করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

• লক্ষণঃ গাছের পাতায় হলুদ দাগ পরে এবং পাতার নিচে সাদা পোকা দেখা যায়।
• দমন পদ্ধতিঃ সাদা পোকার জন্য বিটিলাস নামক কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া প্রতি লিটার পানিতে নিম তেল মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

• লক্ষণঃ ফুল ও বীজের দানাগুলো খেয়ে ফেলে, ফলে ফলন কমে যায়।
• দমন পদ্ধতিঃ বিটি স্প্রে বা মিটারিজিয়াম ভিত্তিক কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও গাছের চারপাশ পুরস্কার রাখতে হবে।

• লক্ষণঃ পাতা মুড়িয়ে রাখে এবং পাতা খায়।
• দমন পদ্ধতিঃ টেস্টের প্রয়োগ করতে পারেন এবং প্রতি সপ্তাহে গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করুন।

• ফসল পর্যবেক্ষণ- প্রতি সপ্তায় গাছ পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজন হলে পোকা দমনের ব্যবস্থা নেওয়া।
• পরিষ্কার পরিছন্নতা- গাছের আশেপাশে আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে। আগাছা পরিষ্কার রাখলে ফলন ভালো হয়। কেনোনা আগাছা পরিষ্কার করলে গাছ দ্রুত বাড়ে এবং প্রয়োজনীয় আলো বাতাস পায়, ফলে ফলন বৃদ্ধি পায়।
• জৈব পদ্ধতি- কেমিক্যাল ব্যবহারের পরিবর্তে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করলে জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেই সাথে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয় না।