কোলেস্টেরল হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এই আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন, কোলেস্টেরল হলে কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা এবং কোন খাবার গুলো খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন বলে আশা করছি।
রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি সাধারণ রোগ হলেও, এটি দীর্ঘমেয়াদী হলে হার্ট অ্যাটাক সহ ডায়াবেটিস সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ রক্তের কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এই আর্টিকেলে কোলেস্টেরল হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ কোলেস্টেরল হলে কি কি খাওয়া নিষেধ-জানুন বিস্তারিত
কোলেস্টেরল হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এই আর্টিকেলে আমরা এ বিষয়টি বিস্তারিত জানতে পারবো। চলুন কোলেস্টেরল হলে কোন খাবারগুলো খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে জেনে নেই। নিম্নে কোলেস্টেরল হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
কোলেস্টেরল হচ্ছে এক ধরনের চর্বি যা আমাদের রক্তে থাকে। এটি শরীরের কোষ এবং হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে, তবে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। বেশি কোলেস্টেরল রক্তনালী ব্লক করে দেয়, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। কিছু খাবার রয়েছে এ সকল খাবার খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বা কোলেস্টেরল বাড়ে।
বিশেষ করে কোন চর্বি জাতীয় খাবার যদি আমরা গ্রহণ করে থাকি, তাহলে আমাদের কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভবনা বেশি থাকে। যেমনঃ গরুর মাংসে কোলেস্টেরল বেশি থাকে, তাই গরুর মাংস যদি আপনি বেশি খান তাহলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভাবনা বেশ বেড়ে যায়। এ ধরনের বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোতে চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই এ সকল খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
কোলেস্টেরল কি এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা
কোলেস্টেরল কি এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কোলেস্টেরল হলে কি কি খাওয়া নিষেধের আর্টিকেলে এখন আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। নিম্নে কোলেস্টেরল কি এবং এ সম্পর্কে সঠিক ধারণাটি ব্যাখ্যা করা হলো।
কোলেস্টেরল কি
কোলেস্টেরল হলো এক ধরনের চর্বি জাতীয় পদার্থ যা আমাদের রক্ততে থাকে। কোলেস্টেরলের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। শরীরে একটি কোলেস্টেরল ভালো থাকে এবং অন্যটি খারাপ থাকে যদি খারাপের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে আমাদের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয়, কিন্তু এর দুটি প্রকার রয়েছে।
একটি হলো এলডিএল ( LDL )- এটি খারাপ কোলেস্টেরল এটি রক্তনালীতে চর্বি জমাতে পারে।
আরেকটি হলো এইচডিএল ( HDL )- ভালো কোলেস্টেরল এটি অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
উচ্চমাত্রার এলডিএল ( LDL ) কোলেস্টেরল হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কোলেস্টেরল কেন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী চলুন এবার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।কোলেস্টেরল হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এই আর্টিকেলে কোলেস্টেরল হলে কেন নিয়ন্ত্রণ করা এটা অনেক জরুরি সে বিষয়ে সম্পর্কে আপনাদের মাঝে এখন আলোচনা করা হবে। নিম্নে কোলেস্টেরল হলে কোলেস্টেরল কেন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী সে বিষয়ে সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
আমাদের যদি কোলেস্টেরল হয় তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং সেই সাথে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের মতন গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা অনেক জরুরী একটি বিষয়। যদি আমরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ না করি তাহলে আমাদের শরীরে এ ধরনের গুরুতর রোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
যদি আমরা সুস্থ্য থাকতে চাই তাই আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের শরীরে যদি রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তাহলে গুরুতর ঐ সকল রোগ গুলো আমাদের হতে পারে। আর এ সকল রোগ কোন ধরনের ছোটখাটো রোগ নয়। কারণ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মত রোগে হঠাৎ করে মানুষ মারা যায়।
কোন কোন কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল হয়
কোন কোন কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল হয় সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। আমাদের কিছু খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে আমাদের শরীরের পরিশ্রম এবং বিভিন্ন জিনগত কারণে আমাদের উচ্চ কোলেস্টেরল হয়ে থাকে। নিম্নে কোন কোন কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল হয় তা উল্লেখ করা হলো। উচ্চ কোলেস্টেরল হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে যেমন-
ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন করলে।
অনিয়ন্ত্রত খাদ্যাভ্যাস গড়লে।
শারীরিক পরিশ্রম না করলে।
জিনগত কারণে
উপরিউক্ত কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল হয়। তাই এসকল কাজ পরিহার করা উচিত।
কোলেস্টেরল হলে যেসব খাবার নিষেধ এখন আমরা এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো। কোলেস্টেরল হলে অনেক ধরনের খাবার খাওয়াই যায় না। নিম্নে কোলেস্টেরল হলে যেসব খাবার খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো। অনেক খাবার রয়েছে যেসব খাবারগুলো উচ্চ কোলেস্টেরল হলে, খাওয়া একদমই নিষেধ যেমন-
কিছু দুগ্ধজাত খাবার রয়েছে উচ্চ চর্বিযুক্ত সেগুলো খাওয়া নিষেধ যেমন- ফুল-ক্রিম দুধ, পনির এবং মাখন, ক্রিম এবং আইসক্রিম।
এছাড়া আরো রয়েছে ভাজা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার যা সম্পূর্ণ নিষেধ যেমন- ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন নাগেটস, চিপস এবং স্ন্যাকস।
এরপরে মিষ্টি এবং বেকারি পণ্য যা খাওয়া একদম নিষেধ যেমন- কেক, পেস্ট্রি, ডোনাট, কুকিজ এবং ক্যান্ডি
প্রসেসড ফুড যেমন- সসেজ, সালামি, এবং হটডগ। এছাড়া ফ্রোজেন মিটবল এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংস।
উপরুক্ত খাবারগুলো যদি আপনি না খান তাহলে আপনার শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল হবে না।
কোলেস্টেরল হলে সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ
কোলেস্টেরল হলে সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ এখন আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হবে। কোলেস্টেরেল হলে সঠিক কিছু খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে আমাদের খুব তাড়াতাড়ি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিম্নে কোলেস্টেরল হলে সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ উল্লেখ করা হলো।
উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিচের খাবারগুলো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো-
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার ওটস, ব্রাউন, রাইস এগুলো খান।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডযুক্ত মাছ স্যামন, ম্যাকারেল খান।
অলিভ অয়েল বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তেল খেতে হবে।
বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খান।
প্রচুর শাক-সবজি এবং ফল-মূল খান।
এছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরিশ্রম করা উচিত।
এ সকল পরামর্শ যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে আপনি খুব সহজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন।
শেষ মন্তব্য
উপরের আলোচনা হতে বোঝা যায় যে, উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন অপরিহার্য। যেসব খাবার এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায় সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং সেই সাথে এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
নিয়মিত ডাক্তার পরামর্শ এবং রক্তের কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। আপনি উপরের আলোচনা অনুযায়ী সকল কাজকর্ম করলে আপনার কোলেস্টেরল কমবে বলে আশা করা যায়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। "আপনার কোলেস্টেরল কমানোর যাত্রা সফল হোক ও সুন্দর হোক।"
জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url