চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায়-জানুন গোপন সব তথ্য
চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায়-জানুন গোপন সব তথ্য এই আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চোখের শুষ্কতা দূর করা যায়। আপনাদের মাঝে চোখের শুষ্কতা দূর করার সকল গোপন তথ্য গুলো তুলে ধরা হবে।
চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায় এই প্রবন্ধে চোখের শুষ্কতা বলতে একটি সাধারন সমস্যা বা চোখে আরামহীনতা, জ্বালাপোড়া এবং ঝাপসা দেখার মত উপসর্গ সৃষ্টি বোঝায়। এ সম্পর্কে আমরা নিম্নে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সূচিপত্রঃ চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায়-জানুন গোপন সব তথ্য
চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায় এখন আমরা এই প্রবন্ধে এ বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করবো। চোখে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলীয় স্তর না থাকার কারণে চোখের শুষ্কতা হয়ে থাকে। কিছু ঘরোয়া উপায় এবং জীবন যাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যার সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিম্নে চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায় এর সকল গোপন তথ্য তুলে ধরা হলো।
চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- চোখের ব্যায়াম- নিয়মিত চোখের ব্যায়াম করলে চোখের পেশির চাপ কমে এবং শুষ্কতা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন- (১) ২০-২০-২০ নিয়ম, প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কোন বস্তুর দিকে তাকান। (২) চোখ ধীরে ধীরে খুলে এবং বন্ধ করে বিশ্রাম নিন।
- পানি পান বৃদ্ধি করা- দেহের জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ করা খুবই জরুরী। শরীরে অভ্যন্তরীণ থেকে হাইড্রেড থাকলে চোখের শুষ্কতা কমে যায় তাই আমাদের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
- গরম সেঁক দেওয়া- গরম পানি দিয়ে তোয়ালে ভিজিয়ে তা ভালোভাবে নিংড়ে নিয়ে এবার তা চোখের উপর রাখুন। এটি চোখের তেল গ্রন্থি খুলে দেয় এবং চোখের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে।
- খাদ্য তালিকায় ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড- ওমেগা-৩ খাবার যেমন মাছ- (সালমন, ম্যাকারেল), বাদাম এবং চিয়া সিড খেলে চোখে তেল উৎপাদন বাড়ে এবং শুষ্কতা দূর হয়।
- ঘি বা নারকেল তেল ব্যবহার- ঘি বা বিশুদ্ধ নারকেল তেল সামান্য নিয়ে চোখের চারপাশে আলতো করে মেসেজ করলে শুষ্কতা কমে এবং আরাম অনুভূত হয়।
- ঘরোয়া পরিবেশ- বাতাসে আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। ধুলাবালির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকুন।
আরও পড়ুনঃ ঘুম থেকে উঠে যে ৫ টি কাজ করা জরুরী
চোখের শুষ্কতার বিভিন্ন কারণ
চোখের শুষ্কতার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এ সকল কারণেই মূলত চোখের শুষ্কতা হয়ে থাকে। চোখের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায় এই প্রবন্ধে এখন আমরা চোখের শুষ্কতার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। নিম্নে চোখের শুষ্কতার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হলো।
চোখের শুষ্কতার বিভিন্ন কারণ
চোখের শুষ্কতার মূল কারণগুলো হলো-
- বাতাসে শুষ্কতা বা ধুলাবালিতে অতিরিক্ত সময় থাকলে এ ধরনের সমস্যা হয়।
- কিছু ওষুধ বা স্বাস্থ্য সমস্যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা হয়।
- দীর্ঘ সময় স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে শুষ্কতার কারণ হতে পারে।
- পর্যাপ্ত পানি পান না করা হলে চোখের শুষ্কতা বেড়ে যায়।
- বয়স জনিত কারণেও চোখের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়।
চোখের শুষ্কতার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ
চোখের শুষ্কতার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। এ সকল লক্ষণ থেকে আমাদের বোঝা যায় যে চোখের শুষ্কতা বেড়ে যাচ্ছে বা চোখের শুষ্কতা হয়েছে। তাই আমাদের চোখের শুষ্কতার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অনেক প্রয়োজন। তা আসুন জেনে চোখের শুষ্কতা কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ সম্পর্কে। নিম্নে চোখের শুষ্কতার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো।
চোখের শুষ্কতার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ
- অতিরিক্ত পানি ঝরানো, শুষ্কতার কারণে চোখ অতিরিক্ত পানি উৎপন্ন করতে চেষ্টা করে।
- চোখে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি হয়।
- চোখে ভারী বা ক্লান্ত অনুভব হয়।
- ঝাপসা দেখা শুরু হয়।
- লালচে ভাব দেখা যায়।
চোখের শুষ্কতা দূরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
চোখের শুষ্কতা দূরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। এ সম্পর্কে যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে আমরা খুব সহজেই চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে পারবো। নিম্নে চোখের শুষ্কতা দূরে প্রতিরোধক মূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
চোখের শুষ্কতা দূরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- চোখের স্বাস্থ্যকর ড্রপ যেমন- আর্টিফিশিয়াল টেয়ারস (Artificial tears) প্রয়োগ করতে পারেন।
- দীর্ঘক্ষন স্কিন ব্যবহার (অর্থাৎ শরীরের কোন স্থান যদি দেখেন) করলে নিয়মিত বিরতি নিন।
- ধুলাবালি এড়াতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে পালন করলে আশা করা যায় যে, চোখের শুষ্কতা দূর করতে সহায় হবে বা প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।
চোখের শুষ্কতা দূর করতে কখন ডাক্তার দেখাবেন
চোখের শুষ্কতা দূর করতে কখন ডাক্তার দেখাবেন চলুন এবার আমরা এ বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নেই। চোখের শুষ্কতা একটি সাধারণ রোগ এই রোগ হলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি আপনার না সারে, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিম্নে চোখের শুষ্কতা দূর করতে কখন ডাক্তার দেখাবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
চোখের শুষ্কতা দূর করতে যখন ডাক্তার দেখাবেন
- চোখের শুষ্কতা দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে।
- চোখে ব্যথা বা লালচে ভাব হলে।
- ঝাপসা দেখা ক্রমাগত হলে।
উপরে বর্ণিত এ সকল সমস্যা যদি আপনার হয়, তাহলে আপনি দ্রুততার সাথে ডাক্তারের পরামর্শ করবেন। সেই সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা করবেন। তাহলে আপনার খুব তাড়াতাড়ি চোখের শুষ্কতা সমস্যা নির্মূল হবে।
পরিশেষে আমার মতামত
উপরে বর্ণিত সকল ঘরোয়া পদ্ধতি থেকে আপনার যদি কাজ না হয়, অর্থাৎ যদি চোখের শুষ্কতা দূর করার পদ্ধতি গুলোতে কাজ না হয়, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উপরে বর্ণিত উপায় গুলো নিয়মিত মেনে চলে চোখের শুষ্কতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে আপনার সমস্যার তীব্রতার উপর ভিত্তি করে সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url