রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ছে কিনা যেভাবে বুঝবেন এই আর্টিকেলে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ার সকল লক্ষণ এবং সেই সাথে রক্ত কোলেস্টেরল বাড়ার কয়েকটি কারণ জানতে পারবেন। এছাড়া আরো জানতে পারবেন কিভাবে রক্তে কোলেস্টেরল কমানো যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
- রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
- কোলেস্টেরল কি এবং এর প্রকারভেদের সঠিক ধারণা
- রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ার কয়েকটি কারণ
- কোলেস্টেরল বাড়লে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়
- যেভাবে কোলেস্টেরল নির্ধারণ করা যায়
- কোলেস্টেরল কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়
- রক্তে কোলেস্টরলের ব্যাপারে সতর্কতা ও পরামর্শ
- শেষ কথা
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
উচ্চ কোলেস্টেরল রক্তে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন- হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মত জটিল রোগের কারণ হতে পারে। তাই সঠিক সময়ে কোলেস্টেরল বাড়ার লক্ষণ গুলো চিহ্নিত করতে পারলে তা নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হবে। তাই চলুন এ বিষয় সম্পর্কে আরো নিম্নের বিষয় গুলো থেকে বিস্তারিত জেনে নেই।
কোলেস্টেরল কি এবং এর প্রকারভেদের সঠিক ধারণা
কোলেস্টেরল হলো এক ধরনের মোমের মত পদার্থ, যা দেহের কোষ ও হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। এটি রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অর্থাৎ উচ্চ কোলেস্টেরল রক্তের চর্বির মাত্রা বাড়ায় আবার নিম্ন কোলেস্টেরল রক্তের চর্বির মাত্রা কমায়।
প্রকারভেদ
এটি মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে, যেমন-
- একটি হলো এলডিএল ( LDL )- এটি আসলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নামে পরিচিত।
- আরেকটি হলো এইচডিএল ( HDL)- এটি আসলে উপকারী কোলেস্টেরল নামে পরিচিত।
- এছাড়া আরেকটি হলো ট্রাইগ্লিসারাইড ( TRIGLYCERIDES )- নামক উপাদান যা কোলেস্টেরলের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ার কয়েকটি কারণ
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ার সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে হলো-
- পারিবারিক ইতিহাস বা জেনেটিক প্রভাব অর্থাৎ জিনগত কারণ।
- ডাইবেটিস বা হাইপারথাইরয়েড জমের মত রোগ।
- অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন করা।
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলতা হওয়া।
- শারীরিক কার্যকলাপের অভাব।
মূলত উপরে বর্ণিত এই সকল কারণগুলোর জন্যেই রক্তে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। তাই এ বিষয়ে সাবধান থাকা অনেক জরুরী।
আরও পড়ুনঃ ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি
কোলেস্টেরল বাড়লে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়
- হাঁটাহাঁটির সময় পায়ের ব্যথা- রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে এ ধরণের সমস্যা হয়।
- শরীরে চর্বি জমা- বিশেষত চোখ বা ত্বকের নিচে জমতে পারে।
- বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি- এটি অ্যাঞ্জাইনা হতে পারে।
- রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।
- শ্বাসকষ্ট হওয়া।
যেভাবে কোলেস্টেরল নির্ধারণ করা যায়
- লিপিড প্রোফাইল টেস্ট- এই টেস্টের মাধ্যমে এটি এলডিএল, এইচডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নির্ধারণ করে। অর্থাৎ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল আছে কিনা বা ভালো কোলেস্টেরল আছে কিনা বা কোলেস্টেরল সঠিক মাত্রা আছে কিনা সেটি নির্ধারণ করা যায়।
- ফাস্টিং লিপিড প্রোফাইল- এই টেস্টের মাধ্যমে খাবার খাওয়ার পর কোলেস্টেরল বাড়লে তা নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার পর কোলেস্টেরল বাড়লো কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
কোলেস্টেরল কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়
কোলেস্টেরল কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার খাওয়া যেমন মাছ, বাদাম ইত্যাদি গ্রহণ করা।
- শারীরিক ব্যায়াম- প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ মিনিট হাটাহাটি বা জগিং করা।
- সুষম খাদ্য গ্রহণ- চর্বি ট্রান্স ফ্যাট ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ- বাড়তি ওজন কমাতে হবে।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করা
প্রয়োজনে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
রক্তে কোলেস্টরলের ব্যাপারে সতর্কতা ও পরামর্শ
- উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার যেমন, ফাস্ট ফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা।
- রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো।
- মানসিক চাপ কমানো।
উপরে বর্ণিত এ সকল ব্যাপারে যদি আপনি সতর্ক থাকেন তাহলে আপনার শরীরটি সুস্থ্য থাকবে এবং সেই সাথে আপনি নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারবেন।
শেষ কথা
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা রাখা হলে হৃদরোগ ও স্টকের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করে চললে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়। তাই সতর্ক থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url